গণতন্ত্র মঞ্চ ঈদের পর জোটের রূপরেখা আনুষ্ঠিকভাবে প্রকাশ করবে


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুন ২৬, ২০২২, ১০:৪৭ অপরাহ্ণ /
গণতন্ত্র মঞ্চ ঈদের পর জোটের রূপরেখা আনুষ্ঠিকভাবে প্রকাশ করবে

ঈদুল আজহার পর জোটের রূপরেখা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৭ দলের সমন্বয়ে গঠিত গণতন্ত্র মঞ্চ। জোট নেতারা বলছেন, জোটের খসড়া রূপরেখা আজ (রবিবার) চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ ভালো নেই। তাছাড়া জোটের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম চলানো হবে। তাই ঈদের পর রূপরেখা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রবিবার (২৬ জুন) রাজধানীর পল্টনে জোটের শরিক ভাসানী পরিষদের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী ২ জুলাই জোটের পরবর্তী বৈঠক তারিখ ঠিক করা হয়। সেই বৈঠক জোটের রূপরেখা আনুষ্ঠিকভাবে প্রকাশের দিনক্ষণ ঠিক হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের পর আমাদের জোটের রূপরেখা প্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, কবে বা কোন তারিখে রূপরেখা প্রকাশ করা হবে তা আগামী ২ জুলাইয়ের বৈঠকে ঠিক হবে।

জোটের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সকালে ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নীতিগতভাবে গণতন্ত্র মঞ্চের রাজনৈতিক রূপরেখার অনুমোদন করা হয়।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম ও নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদ উর রহমান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সভায় গৃহীত প্রস্তাবে দেশের ভয়াবহ বন্যায় লাখ লাখ পরিবারের চরম দুর্দশায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয়। বন্যা কবলিত অধিকাংশ মানুষের কাছে এখনো সরকারের কোনো ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি। সরকারের ত্রাণ তৎপরতা নেহাত প্রচারসর্বস্ব।

বন্যাপীড়িত অঞ্চলে সরকারি দলের অধিকাংশ সংসদ সদস্যসহ তাদের নেতারা অনুপস্থিত। বন্যায় সবচেয়ে বিপদে নারী ও শিশুরা বলে উল্লেখ করে প্রস্তাবে বলা হয়- সিলেট, সুনামগঞ্জসহ বন্যা কবলিত কিছু এলাকার পানি কমে যাওয়ায় বন্যা কবলিতরা নতুন বিপদে পড়েছেন।

অধিকাংশ পরিবারের এখন বাসযোগ্য ঘর নেই, খাবার নেই, নগদ টাকাও নেই। বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনে জরুরি ভিত্তিতে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

%d bloggers like this: