এম এ রহিম,বেনাপোল-যশোর। ভারত থেকে আসা কলিকাতা খুলনাগামী বন্ধন ট্রেনে যেন চোরাচালানের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ট্রেনে আসছে বিভিন্ন চোরাই পন্য। বেনাপোল রেল ষ্টেশন ট্রেন থামতেই বাড়ে চোরাচালানীদের দৌরাত্ব। চলে ছোটাছুটি। রেলে আসছে সাধারণ যাত্রীর চেয়েও চোরাচালানী বেশী। চোরাকারবারীদের থামাতে বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে।নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলে চোরাচালীদের রাজত্ব ফলে ভোগান্তিতে সাধারণ যাত্রীরা।
রবিবার ও বৃহস্পতিবার সপ্তাতে ২দিন চলে ১৭২কিলোটিমার দুরুত্বের কলিকাতা ও খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সোহার্দ ও সম্প্রীতির অংশ হিসাবে যাত্রী সেবায় ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর চালুহয় রেলটি। করোনার কারণে ২৬মাস বন্ধ থাকারপর ২৮মে২০২২ আবারও চালুহয় ট্রেনটি। চালুর পর থেকেই রেলটিতে অবাধে চলছে চোরাইপন্য পাচারের মহা উৎসব। ৫শ যাত্রীর ধারণ ক্ষমতা থাকলেও যাত্রী উঠছে কয়েকগুন। প্রশাসনের সদস্যরা অভিযান চালিয়েও আসছেনা নিয়ন্ত্রনে। ফলে নানান অনিয়মের অভিযোগে প্রশাসনসহ রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
বিষয়টির কিথা স্বীকার করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেযেছেন বলে জানান ষ্টেশন মাষ্টার সাইদুজামান-সাইদ
যাত্রী নিরাপত্বা সহ রেলে চোরাচালান রোধে প্রশাসনের সাথে নিয়ে বিজিবি সর্বাত্তক চেষ্টা করছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা- লে, কর্নেল সাহেদ মিনহাজ্ব সিদ্দিকি অধিনায়ক যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটলিয়ন।
কলিকাতা খুলনা বন্ধর ট্রেনে যাত্রীপ্রতি ভাড়া এসি চেয়ার ৮০০টাকা ও এসি এক্সিকিইটিভ ১২রুপি। ফলে রেলটি নিরাপদ হিসাবে ব্যাবহার করছে চোরা কারবারীরা। হয়রানি ও ভোগান্তিতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :