বন্ধের ৭দিনপর বিশেষ তদবিরে আবারও চালু হলো বাগ আঁচড়ায় ভুয়া ৩টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান
Sarsa Barta
প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ /
০
শার্শা প্রতিনিধিঃ অপচিকিৎসা সহ ভিভিন্ন অনিয়মের ভুক্তভোগীদের অভিযোগে বন্ধে হয়ে যাওয়া যশোরের শার্শা বাগআচড়া ভুয়া সার্টফিকেটে পরিচালিত ৩টিচিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ৭দিনপর বিশেষ তদবিরে আবারও চালু হয়েছে। ঘটনাটি বাগআচড়া এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।অসাধু প্রভাবশালী চক্রের দৌড়ঝাপে রক্ষা পেয়েছে বলে গুজ্ঞন উঠেছে। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন নাগরিকেরা।
স্থানীয় সুত্র জানায় তিনজন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধির মাধ্যমে জেলা৷ও উপজেলার দুইজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ম্যানেজ করেই রক্ষা পেল শার্শা উপজেলার বাগআচড়ার ৩টি বেসরকারি ক্লিনিকের মালিক ও চিকিৎসক। বিশেষ তদবিরে সপ্তাহ খানেক বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলে গেল তাদের চেম্বার।তবে স্বাস্থ্য বিভাগ ম্যানেজ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও জনৈক জন প্রতিনিধি ছত্রছায়ায় চিকিৎসা সেবার নামে ভুই ফেড়ের মতো গজিয়ে ওঠা অনেক প্রতিস্টানের নেই কোম বৈধ কাগজপত্র।
বাগআচড়ার,হুমায়ুন কবিরের তামিম অপটিক্যাল, চিকিৎসক আবু সাইদ ও হাসানুজামান পরিচালিত প্রতিষ্টানগুলো বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বন্ধ ঘোষনার নির্দেশনা দেয় যশোর জেলা সিভিল সার্জন। এক সপ্তাহপর আবারও চালু করা হয়েছে এসব প্রতিষ্টান। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অপ চিকিৎসার নামে হরহামেশায় লেখা হয় বিভিন্ন কোম্পানির কোটিশন গ্রপের ঔষধ।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, তাদের কারো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্টিফিকেট সহ প্রয়োজনীয় ইকুপমেন্ট ওই চিকিৎসক নেই। ঢাকা যশোর ও কেশবপুরের কতিপয় প্রতারক চক্রের কাছ থেকে ভুয়া সার্টফিকেট নিয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে চলছে তাদের ক্লিনিক ব্যবসা।সেবার নামে সর্বশান্ত করা হচ্ছে এলাকার সাধারন মানুষকে।ভুল চিকিৎসায় অকালেই নিভে যাচ্ছে অনেক জীবন প্রদীপ। যশোর জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে স্বজনপ্রীতি ও সমঝোতার অভিযোগ।
এদিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হওয়ার কথা মৌখিক ভাবে জানালে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করে তারা।রোববার স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে দেনদরবারে বসার কথা চাউর হলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তা অস্বীকার করেছেন।তবে বিশ্বস্থ একটি সুত্র জানিয়েছে তিনজন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি এসব ভূয়া চিকিৎসকদের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আবু সাইদ কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। হুমায়ন কবির ও হাসানুজামান তাদের মোবাইল ফোন ধরেনি।শুরু করেছেন দৌড় ঝাপ।
বিষয়টি নিয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইউসুফ আলি তিনটি প্রতিষ্টান বন্ধ রাখার কথা স্বীকার করেন।একটি প্রতিষ্টান বিশেষ ইসারায় খোলা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।
মঙ্গলবার থেকে তাদের প্রত্যেকের প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে দেনদরবারের বিনিময়ে বিষয়টি ম্যানেজ করা হয়েছে।
তদন্ত পূর্বক অভিযান ও অবৈধ এসব প্রতিষ্টান বন্ধসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী সর্ব সাধারণের।
Like this:
Like Loading...
আপনার মতামত লিখুন :