যশোরের মণিরামপুরের ইত্যা গ্রামে সুদে কারবারি এক পরিবারের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে দুলাল মিয়া নামে এক ইট ভাটা শ্রমিক। তিনি ওই গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী দুলাল মিয়া জানান, ১৯৬২ সালে সরকারিভাবে তার পিতা কিছু জমি পান। সেই জমি ভাগাভাগি করে তিনি তিন শতক জমি পেয়েছেন। ওই জমিতে কুঁড়ে ঘর বানিয়ে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন। সম্প্রতি তার জমির দেড় ফুট দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছেন প্রতিবেশী আক্কাজ আলী। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রামে সালিশ হলেও না মানতে নারাজ আক্কাজ। গায়ের জোরে তার কুঁড়ে ঘরের ওপর দিয়ে বাড়ি নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। বাধা দিতে গিয়ে ইতিমধ্যে দু’ দফা হামলার শিকার হয়েছেন দুলাল।
দুলাল মিয়ার অভিযোগ, আক্কাজ আলী ও তার স্ত্রী কহিনুর গ্রামের চিহ্নিত সুদে কারবারি। ওইগ্রামের সবুজ, মামুনসহ বহু মানুষ তাদের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ছেড়েছেন। টাকার জোরে তার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। গ্রামের মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ করে তার পক্ষে রায় দিলেও তারা তা মানছে না।
ইত্যা গ্রামের সাবেক মেম্বার আলী আহমেদ মাস্টার জানান, দুলাল মিয়া হতদরিদ্র ভাটা শ্রমিক। একদিন কাজে না গেলে তার পরিবারে ভাত জোটেনা। আক্কাজ আলী জোরপূর্বক জমি দখল করে তার সাথে অন্যায় করছে। একাধিকবার অনুরোধ করলেও নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছে আক্কাজ। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে আক্কাজ আলী বলেন, ১৯৬২ সালের কাগজপত্র দেখে আমি আমার জমি নিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :