বিয়ের আগেই সন্তানধারণের পরীক্ষা হয় রাজবধূ কেটের, প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : মার্চ ১৫, ২০২৩, ৯:১৩ অপরাহ্ণ /
বিয়ের আগেই সন্তানধারণের পরীক্ষা হয় রাজবধূ কেটের, প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

পরপর একাধিক ঘটনায় বিব্রত হতে হয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবারকে। মাস দুয়েক আগেই রাজকুমার হ্যারির আত্মজীবনীতে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছিল রাজপরিবারের বিরুদ্ধে। ব্রিটেনের সদ্যপ্রকাশিত একটি বইয়ে ফের রাজপরিবারকে নিশানা করেছেন এক লেখক। টম কুইন নামে ওই লেখকের দাবি, বিয়ের আগে কেট মিডলটনের সন্তানধারণ ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়েছিল। রাজপরিবারের প্রথা মেনেই এ পরীক্ষা হয়েছিল বলেই দাবি করেছেন টম।

২০১১ সালে রাজকুমার উইলিয়ামের সঙ্গে বিয়ে হয় কেট মিডলটনের। স্ত্রী হিসাবে রাজকুমারীর পরিবর্তে সাধারণ এক তরুণীকে বেছে নেয়ার কারণে বেশ বিতর্ক শুরু হয় ব্রিটেনের রক্ষণশীল অংশে। দেশের ভবিষ্যৎ রানি হিসাবে সাধারণ মেয়েকে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না অনেকেই। ‘গিল্ডেড ইউথ: অ্যান ইন্টিমেট হিস্টরি অফ গ্রোয়িং আপ ইন দ্য রয়্যাল ফ্যামিলি’ নামে সদ্য প্রকাশিত বইয়ে রাজপরিবারের গোপন তথ্য তুলে ধরেছেন লেখক টম।

বইতে তিনি লিখেছেন, “দেশের ভবিষ্যৎ রানিকে সন্তানের জন্ম দিতেই হবে। তাই বিয়ের আগেই হবু যুবরানির সন্তানধারণ ক্ষমতা খতিয়ে দেখা হয়। কেটের যদি সন্তানধারণের ক্ষমতা না থাকত, তাহলে এই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল ছিল।” টমের মতে, বিয়ের আগে এমন পরীক্ষা নিয়ে কেটের অবশ্য কোনও আপত্তি ছিল না। ১১ বছরের বিবাহিত জীবনে দুই পুত্র ও একটি কন্যার জন্ম দিয়েছেন তিনি।

শুধু কেট নয়, একই পরীক্ষা দিতে হয়েছিল যুবরানি ডায়ানাকেও। সদ্য প্রকাশিত বইয়ের লেখক জানিয়েছেন, “আমার সঙ্গে একবার যুবরানির কথা হয়েছিল। সেই সময়েই জানতে পেরেছিলাম, সন্তানধারণ করতে পারবেন কিনা, সেই পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল ডায়ানাকেও। যদিও এই পরীক্ষার সময়ে তিনি জানতেন না, কী ধরণের শারীরিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। অনেক পরে বিষয়টি বুঝতে পারেন।” সূত্র: ভ্যানিটি ফেয়ার।

%d bloggers like this: