দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি। এতে করে আসন্ন রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আজ বুধবার এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির শেষ দিন ছিল। তাই পেঁয়াজ আমদানির সময়সীমা দ্রুত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
আজ সকালে হিলি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ গতকাল পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৯ থেকে ২০ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকা। এতে কেজি প্রতি বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা বলছেন, রমজান আসতে আর কয়েক দিন বাকি। এ সময় দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে। ফলে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) সরকার বন্ধ করলে দাম হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে। যে পেঁয়াজ আসছে এগুলো আগের অনুমতিপত্র (আইপি) করা। এখন নতুন করে আইপি খুললে এর সময় আজই শেষ হয়ে যাবে। তাই নতুন করে আমদানির অনুমতিপত্র না দিলে রোজার মধ্যে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।
হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, আজ পর্যন্ত সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্রের সর্বশেষ সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। নতুন করে অনুমতি দেওয়া না হলে কাল বৃহস্পতিবার থেকে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। সরবরাহ কমে গেলে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে।
হিলি কাঁচাবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রুবেল ও শাকিল বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ১৯-২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শুনেছি আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে দাম আবার বাড়বে। এতে বিপাকে পড়বে ভোক্তারা। আজ পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে।’
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে যেসব আইপি রয়েছে বা নতুন করে দেওয়া হচ্ছে সেগুলোর মেয়াদ আজ পর্যন্ত বেধে দেওয়া হয়েছিল। এটি আমরা সার্ভারে দেখতে পাচ্ছি।’
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে চলতি মাসের ১৩ কর্মদিবসে ১৮০টি ট্রাকে ৫ হাজার ২২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :